স্টাফ রিপোর্টার : ‘আলোর পথে দুর্নিবার’ স্লোগানকে ধারণ করে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের অন্তরর্গত নিভৃত পল্লী সিকন্দরপুর গ্রামে আলো ছড়াচ্ছে ‘জলসিঁড়ি পাঠাগার’। ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ইংরেজি তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাঠাগারটি গ্রামের পাঠ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে পাঠাগারের বইয়ের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শত (৭০০)। পাঠাগারের ১০০ জন রেজিস্ট্রার্ড সদস্যের বাইরে সাধারণ পাঠক রয়েছেন প্রায় ছয় শত (৬০০) জন। শুক্রবার ছাড়া বাকী ছয় দিন বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত চলে পাঠ কার্যক্রম।
‘জলসিঁড়ি পাঠাগার’-এর পরিচালনায় রয়েছে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি। আর এই পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করে গ্রামীণ জনপদে আলো ছড়ানোর প্রচেষ্ঠা করে যাচ্ছেন, বরেণ্য চিকিৎসক ডা. রুহুল আমীন এ হাসান। তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- ‘এই পাঠাগার আমার স্বপ্নের প্রতিফলন। আমাদেরকে বড় মানুষ হতে হলে মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত বুদ্ধির অর্জনের পথে হাঁটতে হবে। আর এই পদক্ষেপের সর্বাগ্রে প্রয়োজন মুক্ত জ্ঞান অন্বেষণ। একমাত্র মুক্ত জ্ঞান অন্বেষণের মাধ্যমেই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে মৌলবাদ মুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলা সম্ভব। আর এজন্য দেশের সচেতন নাগরিকদের পাঠাগার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি তাঁর স্বপ্নের ‘জলসিঁড়ি পাঠাগার’-এর উন্নয়নে সমাজের সচেতন নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply