পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : সেই ১৯৮০ সালের কথা, মুক্তি পেয়েছে সিনেমা ‘ছুটির ঘন্টা’। কোন সিনেমাহলই ছবিটি চালাতে রাজি হয়নি, শেষ পর্যন্ত পরিচালক ইনিয়ে-বিনিয়ে কয়েকটি সিনেমাহলের মালিককে রাজি করালেন। মাত্র ২০ টি সিনেমাহলে মুক্তি পেয়ে ছিলো, এদেশের অন্যতম সেরা ছবি ‘ছুটির ঘন্টা’! তারপরের ঘটনা অবশ্য ইতিহাস। এরপর সারা দেশে কোথাও চার-পাঁচ সপ্তাহ, কোথাও এক-দুই থেকে পাঁচ মাসও ছবিটি চলেছে।
‘ছুটির ঘন্টা’য় শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করে কালজয়ী হয়ে আছেন শিশুশিল্পী মাস্টার সুমন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন নায়করাজ রাজ্জাক, শাবানা, সুজাতা, শওকত আকবর, এবং এ টি এম শামসুজ্জামানরা।
তবে অনেকেরই অজানা আজিজুর রহমান পরিচালিত এ সিনেমায় শাবানা নন, অঞ্জনাকে নেয়া হয়েছিল প্রধান নারী চরিত্রে। ‘ফিল্ম পলিটিক্স’ করে সেই সিনেমা অঞ্জনার কাছ থেকে ‘ছিনিয়ে’ নেন শাবানা। এমনটাই দাবি করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অঞ্জনা।
ফেসবুকে সিনেমাটির মহরতের একটি ছবি পোস্ট করে অঞ্জনা অবাক করা এ তথ্য জানালেন। তিনি লেখেন, বিখ্যাত ‘ছুটির ঘণ্টা’ ছায়াছবির শুভ মহরতে আমি ও নায়করাজ রাজ্জাক ভাই, এবং গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাই, আজিজুর রহমান ভাই।
শাবানা আপা ফিল্ম পলিটিক্স করে ৪ দিন শুটিং হবার পরে ছবিটি আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। কিন্তুু এই চলচ্চিত্রের প্রযোজক সত্য সাহা দাদা আমাকে দেয়া সাইনিং মানি ফেরত নেয়নি এবং ওনার প্রযোজনায় নির্মিত পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘গুনাইবিবি’ ছায়াছবিতে সেটা এ্যাডজাস্ট করেন। সত্যি ইতিহাস কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারেনা।
তার সেই পোস্টে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী মুনমুন লিখেছেন, ফিল্ম পলিটিক্স আগেও ছিল দিদি তবে যারা এসব বেশি করতো তারাই সবার কাছে ভালো মানুষ এর মর্জাদা পেয়ে যায়।
Leave a Reply