পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত তিন পরিচালককে ‘সংবর্ধনা’ দিয়েছে বাংলাদেশ গ্রন্থসুহৃদ সমিতি (বাগসুস) ও বেরাইদ গণপাঠাগার। এই তিন গুণী হলেন ফজলে রাব্বি, আখতারুজ্জামান ও মো. নজরুল ইসলাম।
বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিসেবায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদেরকে ‘গ্রন্থাগার সুহৃদ’ সম্মাননা পদকে ভূষিত করা হয়। ‘ঈদ পুনর্মিলনী ২০২২’ উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকা উত্তর সিটির ৪২ নং ওয়ার্ডে, বেরাইদ গণপাঠাগার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি এমদাদ হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন একেএম রহমতুল্লাহ কলেজের উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
বর্তমানে কানাডাপ্রবাসী অষ্টাশি বছর বয়সি ফজলে রাব্বি ১৯৭৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯২ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের একটি দেশে থাকলেও মাতৃভূমির টানে বারবার ছুটে আসি। সারাক্ষণ হৃদয়ে ভাসে মা-মাটি-মানুষেয় ছবি।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানমনষ্ক. যুক্তিনির্ভর ও আলোকিত সমাজ গঠনে জ্ঞান আহরণের বিকল্প নেই। সেজন্য বই পড়তে হবে। বই পড়ার জন্য গ্রন্থাগার গড়তে হবে, জ্ঞানচর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। নিজ পরিবারে ‘পারিবারিক গ্রন্থাগার’ রচনা করতে হবে। সেটা হবে শান্তিময় জীবন পরিচালনার লক্ষ্যে নিজ আলয়ে গড়ে তোলা ‘আপন ভুবন’। শুধু তাই নয়, গ্রন্থাগার গড়তে হবে মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৗরসভা, উপজেলা সদর ও নগর-মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে। শিশু-কিশোর, যুব-যুব মহিলা, প্রবীণ সব বয়সী পাঠকের কথা মাথায় রেখে সাজাতে হবে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধাসম্বলিত গ্রন্থাগার। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া শুধু সরকারের একক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। তিনি ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ‘জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র’কে বর্তমান জায়গাটি প্রদান করেন। পরের বছর তা রেজিস্ট্রি করা হয়। গ্রন্থাগার পৃষ্ঠপোষকতায় এটা জাতির পিতার দূরদর্শিতার পরিচায়ক। আমি থাকার সময় কাগজপত্র আপডেট করেছিলাম। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অধীন ‘জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র’ বেসরকারি গ্রন্থাগারের মাঝে সরকারি অনুদানের অর্থ বিতরণ করে থাকে। সাবেক পরিচালক আখতারুজ্জামান সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ, সৈয়দ মোহাম্মদ সাবের, শফি মোহাম্মদ মাসুদ ও নাজমা মাসুদ। বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মির্জা লুৎফর রহমান, রওশনআরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল আলম, বেরাইদ মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদাসার সুপারিনটেনডেন্ট সাইদুর রহমান, আলহাজ রাহীমুল্লাহ মোল্লা দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারি, একেএম রহতুল্লাহ কলেজের প্রভাষক মো. মানিক মিয়া, আইটি অফিসার মইনুল হাসান, সহকারি গ্রন্থাগারিক আয়েশা আক্তার স্মৃতি ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply