স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব গ্রন্থ ও কপিরাইট উপলক্ষে ২৩-২৬ এপ্রিল ২০২২ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ বিষয়ক চার দিন ব্যাপী গ্রন্থ প্রদর্শনী ও ‘তরুণ প্রজন্মকে গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধকরণে কার কি করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আজ সকাল ১১ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্ত গ্রন্থাগার হতে আগত ক্ষুদে পাঠকদের পরিবেশনায় ‘আগুনের পরশমণি’ গানের মাধ্যমেই আজকের সেমিনারের শুভ সূচনা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ বলেন- “পাঠাগারকে সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু পাঠ্য পুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ হলে হবে না। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, আইনস্টাইনের মতো বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বদের জীবনী অনুস্মরণ করতে হবে। গ্রামীণ পাঠাগারে মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে আন্তরিক ভূমিকা রাখার আহবান জানান।” সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উপদেষ্টা ওসমান গনি, সময় প্রকাশের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ, দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি শাহনেওয়াজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রতিনিধি ও প্রকাশকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী ২৫ টি গ্রন্থাগার হতে নির্বাচিত ২ জন অর্থাৎ মোট ৫০ জন সেরা পাঠক-পাঠিকার হাতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পক্ষ হতে উপহার হিসেবে বই প্রদান করা হয়।
Leave a Reply