পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলা সাহিত্য দু’জনের কাছে ঋণী। বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপালের একজন আর্থিক প্রাচুর্যের মধ্যে আর অন্যজন আর্থিক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন ও সাহিত্য রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যচর্চা করেছেন প্রায় ৬৮ বছর। অন্যদিকে নজরুল সাহিত্যচর্চা করতে পেরেছেন মাত্র ২০-২৫ বছর। রবীন্দ্রনাথ যখন বাংলা সাহিত্যে রাজত্ব করছেন, ঠিক সে সময়টায় উত্থান ঘটে কবি নজরুলের। নজরুল ৩৪ বছর ১২০ দিন নির্বাক ছিলেন। এ দীর্ঘ সময় তিনি নির্বাক না থাকলে বাংলা সাহিত্যকে আরো অনেক কিছু দিতে পারতেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব ঢাকা মিলনায়তনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অফিসার্স ক্লাব ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সাহিত্যকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। অন্যদিকে নজরুলও বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এখানকার অনুপম নৈসর্গ থেকে তিনি আহরণ করেছেন গান-কবিতার অনাবিল উপাদান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের দুঃসময়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানে আশ্রয় খুঁজতেন, অনুপ্রেরণা পেতেন। তাই কবিগুরু রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচন করে কবির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধন চিরস্থায়ী করেছেন। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। তিনি নজরুলকে বাঙালি জাতির জাতিসত্তা বিনির্মাণের ঐতিহাসিক রূপকার হিসেবে সম্বোধন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নজরুলকে কলকাতা হতে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়।
অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সহ-সভাপতি সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর দে। স্বাগত বক্তৃতা করেন অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সাধারণ সম্পাদক ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
Leave a Reply