বাইতুল হিকমাহ ইসলামী পাঠাগারের নতুন কমিটি, সভাপতি শরীফ, সম্পাদক নকীব
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ‘বাইতুল হিকমাহ ইসলামী পাঠাগার’ এর ২০২১-২২ সেশনের নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আবু বকর সিদ্দীক (শরীফ)-কে সভাপতি ও মুজতাবা মাহমুদ (নকীব)-কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গত সোমবার রাতে (১৪ ফেব্রুয়ারী) গঠিত হয়েছে।
পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হচ্ছেন সহ-সভাপতি : মুনজুরুল কবির আব্দুল্লাহ ও মাসুকুর রহমান (মাসুক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : মনিরুজ্জামান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক : মেহেদী হাসান (রাজিব), যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক : মামুনুর রহমান (মামুন), দপ্তর সম্পাদক : প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক : তারিকুল ইসলাম (তারিক), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : এমদাদুল হক (মিলন), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক : হাফেজ কেয়ারুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক : সেলিম মল্লিক, পাঠকসভা সমন্বয়ক : মনির হোসেন (সোহাগ), পাঠকসভা সহ-সমন্বয়ক : নাসীব আহসান (নাবিল), শিশু-কিশোর পাঠক সমন্বয়ক : হৃদয় হাসান।
এছাড়াও কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন আমিরুল ইসলাম (রুবেল), আল- আমিন মণ্ডল, মোবারক হোসেন, রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ), মেহেদী মো. সিদ্দীকী (তন্ময়), সাব্বির হোসেন, ইমতিয়াজ সিফাত, মোজাহিদুল ইসলাম (জিহাদ), মোর্শেদুল ইসলাম শিকারী, হুজায়ফা হোসেন (রনি), হুমায়ুন কবির সরকার, মাশুকুর রহমান (মাশুক) মণ্ডল, সাখাওয়াত হোসেন ও মাহমুদুল হাসান।
পাঠাগারের সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক শরীফ বলেন, “আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগোতে এগোতে পাঠাগারটিকে সক্রিয় করতে পেরেছি। তবে এখনও তরুণদের পাঠাগারমুখিতা আশাব্যঞ্জক নয়। এছাড়া আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা চাই একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী কেন্দ্র গড়ে তুলতে। যেখানে নূরানী মক্তব, আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পাঠাগার, গণশিক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই।”
সাধারণ সম্পাদক মুজতাবা মাহমুদ নকীব বলেন, “আমাদের মক্তবটি সারাদিন ফাঁকা পড়ে থাকত। আমরা ২০১৭ সালে পরিকল্পনা গ্রহণ করি একটি পাঠাগার স্থাপনের। মুসলমানদের সোনালী যুগের আব্বাসীয় শাসনামলে বাগদাদ শহরে অবস্থিত প্রধানতম সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার বাইতুল হিকমাহ – এর নামে পাঠাগারটির নাম প্রস্তাব করা হয় “বাইতুল হিকমাহ ইসলামী পাঠাগার”। বিভিন্ন কারণে আমরা পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। ২০২০ এর শুরুর দিকে আমরা নতুন করে পরিকল্পনা করি এবং নভেম্বর মাসেই পাঠাগার সচল হতে শুরু করে। বর্তমানে আমাদের সংগ্রহে বই ও সাময়িকী মিলিয়ে চার শতাধিক প্রকাশনা রয়েছে। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ আমাদেরকে পুলকিত করেছে। আশা করি আগামী দিনে সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগারটি ভূমিকা রাখতে পারবে।”
Leave a Reply