পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বিশ্বায়নের এ যুগে মাতৃভাষার পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হিসেবে হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ভাষায় দখল থাকা জরুরি। আর সে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) -এ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ এবং ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস’। ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের দেশীয় ভাষাসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় সমৃদ্ধ করার জন্য। অন্যদিকে আমাদের বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস’।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) মিলনায়তনে আইইউবি’র ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ এবং ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউবি বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর সদস্য দিদার এ হুসেইন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনা এ ভাষাকে কেন্দ্র করেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বহু ভাষাভাষীর দেশ। এদেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ৪৯টি নৃগোষ্ঠী রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।
‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ (এসসিএমএলই) সম্পর্কে আলোকপাত করেন সেন্টারটির নির্বাহী পরিচালক ড. কুদরতে খোদা। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইইউবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার।
আইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, ভাষা হলো যোগাযোগের মাধ্যম। একজন মানুষ যত বেশি ভাষা জানবে, নিজের জন্য ততো বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারবে। আজকের এ দ্রুতগতির ডিজিটাল যোগাযোগ এবং রূপান্তরের যুগে মাতৃভাষার পাশাপাশি একাধিক ভাষা জানা থাকলে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে থাকা যায়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তৌহিদ সামাদ এবং এ মতিন চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন আইইউবি এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
Leave a Reply