স্টাফ রিপোর্টার : প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রংপুরের আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন জ্ঞানদ্বীপ পাঠাগারে আজ বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় বৃক্ষরোপণ এবং ৫০০ পাঠকের মাঝে দুই হাজার চারা বিতরণ করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম, জাম, কাঠাল, জলপাই, অর্জুন, হরিতকি, বহেরা, মেহগনি এবং বকুলের চারা পাঠকদের হাতে তুলে দেয়া হয়।। এই সময় উপস্থিত ছিলেন পাঠাগারের সম্মানিত সভাপতি জনাব মো: আমজাদ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব মো: আবু তালেব। উপস্থিত ছিলেন পাঠাগারের সম্মানিত সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মো: আমজাদ হোসেন( অধ্যক্ষ, অবঃ), সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনাব মনসুর আলী এবং আরো অনেকেই।
উক্ত অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রধাণ অতিথি বলেন, দেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ছিলো বলেই আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সেই দেশকে,পরিবেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব তোমাদের। আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য গাছ লাগানো জরুরী। যারা গাছ লাগায় তারাও দেশপ্রেমিক তারাও যোদ্ধা। সেই অর্থে তোমরা প্রত্যেকেই দেশপ্রেমিক। পাঠকদের মধ্য থেকে বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লায়লাতুল জান্নাত, বগুড়া মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরুল ইসলাম মুন, গংগাচড়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নুর এলাহী ।
উল্লেখ্য পাঠাগারটি রংপুর জেলার, গংগাচড়া থানার গজঘন্টা ইউনিয়নের জয়দেব মধ্যপাড়া গ্রামে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই পাঠক তৈরি এবং বই পড়া আন্দোলনের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাসিক এবং ত্রৈমাসিক মেধাবৃত্তি, পিছিয়ে পড়া নারী পাঠকদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সেলাইমেশিন প্রযেক্ট, ষাণ্মাসিক চলচ্চিত্র উৎসব, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপন এবং চারা বিতরণ কর্মসূচী পালন করে আসছে। পাঠাগারের ব্যাতিক্রমী এই সামাজিক কর্মকাণ্ড গুলো গ্রামের মানুষের মাঝে আলোড়নের সৃষ্টি করেছে।
ব্যাতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন
পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক মো: রাসেল হোসেন। সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Leave a Reply