পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : শিল্প-সংস্কৃতি যে কোনো দেশ ও জাতির আত্মপরিচয় বহন করে। শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে সমকালীন শিল্পভাবনাসহ যেকোনো দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি। তিনি বলেন, আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মতো আন্তর্জাতিক আয়োজনের মাধ্যমে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে, দেশ ও সভ্যতা উপকৃত হয় এবং সর্বোপরি মানবিকতার উন্মেষ ঘটে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে যেভাবে জাগরণ সৃষ্টি হয়, তেমনিভাবে প্রতি দুই বছর পর পর আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের শিল্পাঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। দেশি-বিদেশি বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে এ প্রদর্শনী পরিণত হয়েছে সৃজনশীলতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং হৃদয় ও মনন বিনিময়ের এক সমৃদ্ধ প্ল্যাটফর্মে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘১৯তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ। ন্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুব করিম।
সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, যেকোনো ধরনের শিল্প প্রদর্শনী বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপাদান স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজন একটি জ্ঞানমনস্ক, চিন্তাশীল, মানবিক ও সৃজনশীল প্রজন্ম। এ আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী সৃজনশীল ও মননশীল জ্ঞান চর্চার অপার সুযোগ তৈরি করেছে। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Leave a Reply