স্টাফ রিপোর্টার : বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা একটি দেশের উন্নয়নকে দীর্ঘস্থায়ী করে সামাজিক সংকট দূর করতে বই পড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেশের সক্রিয় পাঠাগারগুলো ই করে থাকে। এইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা একটি দেশের উন্নয়নকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে, রাষ্ট্রকে করে শক্তিশালী। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বিলকিছ আলম পাঠাগারে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এমনটি বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থাকেন্দ্রের উদ্যোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ‘বিলকিছ আলম পাঠাগার’- এ গত সোমবার‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১০জন শিক্ষার্থী রচনা জমা দেন এবং সেখান থেকে ১১জন নির্বাচিত করা হয়। তারা পেয়েছেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে সনদপত্র ও নির্বাচিত বই।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও কবি মিনার মনসুর। প্রধান অতিথি ছিলেন মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এইচ আর হারুন। সভাপ্রধান ছিলেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম খাঁন। প্রধান আলোচক মিনার মনসুর বলেন, ‘আর্থিক অনুদান দিয়েও পাঠাগার চালানো যাবে না, যদি না তার পাঠক আন্তরিক ও সক্রিয় না থাকে। তাই পাঠাগারগুলোকে কেবলমাত্র বই না, সাংস্কৃতিক হাব হিসেবে কাজ করা উচিৎ। সেই কাজটাই বিলকিছ আলম পাঠাগার করে যাচ্ছে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তানভীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব হোসেন, ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে খোকন, কুমিল্লা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী গণগ্রন্থাগারিক মোহাম্মদ নাফিস সাদিক শিশির প্রমুখ।
‘বিলকিছ আলম পাঠাগার’র প্রতিষ্ঠাতা কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম লতিফী, ধনুসাড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল, মিয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শরীফুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম সরকারি পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নান্টু চন্দ্র দেবনাথ, কবি আমজাদ হোসাইন, ফেনী সিটি কলেজের প্রভাষক ও বিলকিছ আলম পাঠাগারের সহ-সভাপতি ইয়াসিন পাটওয়ারী, বিলকিছ আলম পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো।
উল্লেখ্য ‘বই পড়ি নিজেকে জানি’ স্লোগানে সমাজের সব বয়সীদের জন্য বিলকিছ আলম পাঠাগার কাজ করে যাচ্ছে ২০১৭ সাল থেকে। বই বিনিময়, পাঠচক্র, লেখকের মুখোমুখি পাঠক, বাড়ি বাড়ি পাঠকের খোঁজে- এমন নতুন নতুন চিন্তায় গতানুগতিক পাঠাগারের ধারণাকেই পাল্টে দিচ্ছে।
Leave a Reply