1. admin@pathagarbarta.com : admin :
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজারে শিশু কানন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত স্বরূপচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির স্মৃতিচারণ অনুষ্টান সরকারি নিবন্ধন পেল নবীগঞ্জের সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘সনাতন-দীননাথ যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ পরিদর্শন   নবীগঞ্জে ‘সনাতন-দীননাথ যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’ আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত  মৌলভীবাজারে ইউনাইটেড ক্লাব ২০২৫-২০২৭ কার্যকরী পরিষদ গঠন লন্ডনে নন্দন আর্টসের আয়োজনে গজল নাইট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত সিলেটে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত শ্রীমঙ্গলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চারদিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু হচ্ছে কাল নিলফামারীর মুক্তিযোদ্ধা দেলওয়ার রহমান গ্রন্থাগারের উদ্যোগে সান্ধ্যকালীন সাহিত্য আড্ডা 

অসমাপ্ত আত্মজীবনী (৫ম পর্ব) – শেখ মুজিবুর রহমান

পাঠাগার বার্তা
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২০৪ বার পঠিত

অসমাপ্ত আত্মজীবনী
শেখ মুজিবুর রহমান

(মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিক প্রকাশ)
পর্ব-৫
সিআইডি এই কথা শুনতে পেল ওদের বাড়ির পিছনে পালিয়ে থেকে। তার কয়েক দিন পরেই তিন ভাই ও বোন গ্রেপ্তার হল এবং স্বীকার করতে বাধ্য হল তারাই তাদের বাবাকে হত্যা করেছে।

শেখরা মুক্তি পেল আর ওদের যাবজ্জীবন জেল হল। শেখরা মামলা থেকে বাঁচল কিন্তু সর্বস্বান্ত হয়েই বাঁচল। ব্যবসা নাই, জমিদারি শেষ, সামান্য তালুক ও খাস জমি, শেখ বংশ বেঁচে রইল শুধু খাস জমির জন্য। এদের বেশ কিছু খাস জমি ছিল। আর বাড়ির আশপাশ দিয়ে কিছু জমি নিস্কর ছিল। খেয়ে পরার কষ্ট ছিল না বলে বাড়িতে বসে আমার দাদার বাবা চাচারা পাশা খেলে দিন কাটাতেন। সকলেই দিনভর দাবা আর পাশা খেলতেন, খাওয়া ও শোয়া এই ছিল কাজ। এরা ফার্সি ভাষা জানতেন, বাংলা ভাষার উপরও দখল ছিল। রেণুর দাদা আমার দাদার চাচাতো ভাই। তিনি তাঁর জীবনী লিখে রেখে গিয়েছিলেন সুন্দর বাংলা ভাষায়। রেণুও তার কয়েকটা পাতা পেয়েছিল যখন তার দাদা সমস্ত সম্পত্তি রেণু ও তার বোনকে লিখে দিয়ে যান তখন। রেণুর বাবা মানে আমার শ্বশুর ও চাচা তাঁর বাবার সামনেই মারা যান। মুসলিম আইন অনুযায়ী রেণু তার সম্পত্তি পায় না। রেণুর কোনো চাচা না থাকার জন্য তার দাদা সম্পত্তি লিখে দিয়ে যান। আমাদের বংশের অনেক ইতিহাস পাওয়া যেত যদি তার জীবনীটা পেতাম। কিন্তু কে বা কারা সেটা গায়েব করেছে বলতে পারব না, কারণ অনেক কথা বের হয়ে যেতে পারে। রেণু অনেক খুঁজেছে পায় নাই। এরকম আরো অনেক ছোটখাটো গল্প আছে, কতটা সত্য কথাটা মিথ্যা বলতে পারব না।

যাক শেখদের দুর্দিন আসলেও তারা ইংরেজদের সহ্য করতে পারত না। ইংরেজকে গ্রহণ করতে না পারায় ও ইংরেজি না পড়ায় তারা অনেক পিছনে পড়ে গেল। মুসলমানদের সম্পত্তি ভাগ হয় অনেক বেশি। বংশ বাড়তে লাগল, সম্পত্তি ভাগ হতে শুরু করল, দিন দিন আর্থিক অবস্থাও খারাপের দিকে চলল। তবে বংশের মধ্যে দুই একজনের অবস্থা ভালই ছিল।

আমার দাদাদের আমল থেকে শেখ পরিবার ইংরেজি লেখাপড়া শুরু করল।
(চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

error: Content is protected !!