পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোর বাস্তব অবস্থা, সক্ষমতা ও কার্যকারিতা যাচাই শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রশ্নপত্র ও সাক্ষাৎকার প্রদান পদ্ধতিতে পরিচালিত এই গবেষণায় দেশের ৪টি বিভাগের ৩৬টি জেলার ১৪৪টি গ্রন্থাগার থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ ৫ জুন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে গবেষণা কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশ ও সুপারিশসমূহ উপস্থাপন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাইয়ের একটি বড় মাধ্যম এই গবেষণা। এর ফলে গ্রন্থগারগুলোর প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে ৬টি সুপারিশকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে গবেষণা প্রতিবেদনে মত দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থাগারগুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্রন্থাগারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ক্যাটালগিং, পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গ্রন্থাগারকেন্দ্রিক কর্মসূচি জোরদার যেমন পাঠচক্র, সরকারি অনুদানের হার ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি, সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের জন্য গ্রন্থাগারকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার মতো সুপারিশ রয়েছে।
এ ছাড়াও মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য গবেষণা প্রতিবেদনে আরো ১৩টি সুপারিশ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মিনার মনসুর বলেন, নানা কারণে মানুষ বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এ বাস্তবতায় এই গবেষণা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই গবেষণার ফলে দেশের বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের প্রকৃত অবস্থা জানা সম্ভব হয়েছে।
বেসরকারি গ্রন্থাগার নিয়ে এ ধরনের গবেষণা দেশে এটিই প্রথম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই গবেষণার সুপারিশসমূহ ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
সভায় গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হক।
৩৬টি জেলার প্রতিটি থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ৪টি অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি গ্রন্থাগার নির্বাচিত করে মোট ১৪৪টি গ্রন্থাগারের পাঠক, গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
Leave a Reply