1. admin@pathagarbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পাক্ষিক কমলকুঁড়ি পত্রিকার ১৫তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান কবিগুরু ও নবীগঞ্জের দাশগুপ্ত জমিদার পরিবার-রত্নদীপ দাস (রাজু) কবি আজিজুল আম্বিয়ারের কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচম অনুষ্ঠিত  টাঙ্গাইলের ‘অভয়ারণ্য পাঠাগার’-এ বই লুট   জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা বই’ শীর্ষক কার্যক্রমের চূড়ান্ত মূল্যায়ন আজ সাংবাদিক সৌমিত্র দেবের মৃত্যুতে শোকের ছায়া  পুরান ঢাকার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে বৈশাখী অনুষ্ঠন আয়োজিত  জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম বেগম রোকেয়া স্মরণে রচনা লিখন কার্যক্রমের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি

পাঠাগার বার্তা
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২
  • ১৪৩ বার পঠিত

আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি

লিয়াকত হোসেন খোকন

শতবর্ষী বটগাছ সগৌরবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামবাংলার পথের ধারে, নদীর পাড়ে। বটের শাখায় শাখায় পূবাল বাতাসের ছোটাছুটি সঙ্গে কোকিলের -ডাহুকের সুরের তান, চাতকের করুণ ধ্বনি আর ঘুঘুর ক্লান্ত স্বর – গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে এক উঁচু মাত্রায় তুলে ধরেছে। এ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। কিন্তু এমন নির্মল পরিবেশ আর প্রকৃতির মাঝে আমার সোনার বাংলায় প্রকৃতির মাঝে কোথাও যেন বিশাল এক ফারাক সৃষ্টি হয়েছে। একটি ঘাটতি আমাদের কপালে ভাবনার ভাঁজ এঁকে দিয়েছে। হতাশায় ফেলেছে আমাদের নতুন প্রজন্ম গ্রামবাংলার কিশোর -কিশোরীর হৃদয়ে হৃদয়ে। কারণ আজ থেকে ক’বছর আগেও যাদের দেখেছি গ্রামের এমাথা থেকে ও মাথায় স্বাধীন বিচরণ হৈ -হুল্লোড় দৌড় -ঝাঁপ, জলাশয়, পুকুর, নদী, খালে কিম্বা বিলে সাঁতার, নন্দাই, ছুঁয়াছুঁয়ি খেলা খেলতে তা দেখছি আজ অনেকটা উধাও। কোথাও যেন এ ডানপিটে চঞ্চলতা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, বধির হয়ে আছে পড়ন্ত বিকেলে খোলা মাঠে গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ধারণ করা নানান ধরনের নানান খেলা। সময়ের মাঝে গ্রামবাংলার অনেকগুলি খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ যেন তার অস্তিত্বই হারাতে বসেছে। সারা বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে খুঁজেও এ খেলাগুলোর অবশিষ্ট পাওয়াই ভার। দিনকে দিন তা যেন চোখের আড়াল হয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। খোদ অজপাড়া গাঁয়েও সবচেয়ে বেশি প্রচলিত দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, কানামাছি এমনকি হা -ডু -ডু খেলারও প্রচলন নেই। গ্রামবাংলার খেলাধুলার মধ্যে যেসব খেলা হারিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে বা হারিয়ে গেছে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মন্দুরুজ, গাদন, ঘো – ঘো, জাঙ্গুলী, গোশত তোলা, রান্নাবাটি, চিক্কা, কুতকুত, ল্যাংচা, কিং কিং খেলা, কুস্তি, ডুবসাঁতার, বোমবাস্টিং, হাঁড়িভাঙ্গা, বুদ্ধিমন্তর, কাঠিছোঁয়া, দড়ি লাফানো, দড়ি টানাটানি, চেয়ার সিটিং, রুমাল চোর, চোখবুঝাবুঝি, ওপেন্টি বায়স্কোপ, লাটিম, লুডু, এলাটিং বেলাটিং, আগডুম বাগডুম, ইচিং বিচিং, ইকড়ি মিকড়ি, লাঠিখেলা, হাঁড়িভাঙ্গা, এক্কাদোক্কা, মইলা, রামসাম যদুমদু, চোর ডাকাত, মার্বেল, সাতচাড়া, ষোলগুটি, চিলমোরগ, কাইচ্চামারি, বদন, লাফালাফি, ডালিম খেলা, পুতুল বৌ, বাঘ ছাগল অন্যতম। দুঃখ হলেও সত্য যে, ঐতিহ্যবাহী এ খেলাগুলো আর গ্রামবাংলার কিশোর -কিশোরীরা আর খেলে না। আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এসব খেলা গ্রামবাংলা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে। যা আমাদের এ প্রজন্মের জন্য আদৌ সুখকর নয়। শুধু খেলাধুলা নয়, প্রকৃতি দিন দিন রুক্ষ হয়ে পড়ছে। হাজারও খাল বিল নদীর সমন্বয়ে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানান উপকরণ দিয়ে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশ। গ্রামের শান্ত শীতল পরিবেশমন্ডিত দেশের এখানে সেখানে দখলবাজির কারণে গ্রামবাংলার চির সবুজ শ্যামলিমা আগের মতো নেই। কালের বিবর্তনে অনেকটা পরিবর্তন এলেও সেটা যে খুব বেশি পরিবর্তন হয়ে গেছে তা বলা যাবে না। কারণ আজও বিশেষ করে গহীন গ্রামের কোনও এক মেঠো পথ ধরলে চোখের সামনে যা ভেসে উঠে তা যে গ্রামের চিরন্তন রূপ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ছোট ছোট খাল আর বাঁশের বেড়ায় বাঁধা মাচাঘর প্রথম দৃষ্টিতে নজর কাড়বে সন্দেহ নেই। গ্রামবাংলার কোথাও কোথাও – ” শ্যামল গাঁয়ের বাঁকা পথের বাঁকে / পাতার ঘরে গাঁয়ের মেয়ে থাকে / ছোট্ট নদীর ধারে বটের ছায়ায় / ঐ গাঁয়েরই রাখাল ছেলে বাঁশি বাজায় / বাঁশি বাজে, আর বাজে, খালি বাজে / গাঁয়ের মেয়ে ভাবে আর ভাবে ” গানের এ প্রতিচ্ছবি আজও খুঁজে পাওয়া যায়।

লেখক : প্রাবন্ধিক; রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

error: Content is protected !!