1. admin@pathagarbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পাক্ষিক কমলকুঁড়ি পত্রিকার ১৫তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান কবিগুরু ও নবীগঞ্জের দাশগুপ্ত জমিদার পরিবার-রত্নদীপ দাস (রাজু) কবি আজিজুল আম্বিয়ারের কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচম অনুষ্ঠিত  টাঙ্গাইলের ‘অভয়ারণ্য পাঠাগার’-এ বই লুট   জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা বই’ শীর্ষক কার্যক্রমের চূড়ান্ত মূল্যায়ন আজ সাংবাদিক সৌমিত্র দেবের মৃত্যুতে শোকের ছায়া  পুরান ঢাকার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে বৈশাখী অনুষ্ঠন আয়োজিত  জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম বেগম রোকেয়া স্মরণে রচনা লিখন কার্যক্রমের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৩তম জন্মদিন আজ

পাঠাগার বার্তা
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৯ বার পঠিত

পাঠাগার বার্ত ডেস্ক : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ। ঘূণে ধরা সমাজকে পরিবর্তন করে ভারতবর্ষকে যিনি আলোকিত করেছেন, সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৩তম জন্মদিন আজ।

বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম সার্থক রূপকারের জন্ম ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেন তিনি। সীমাহীন দারিদ্র্য ও নিদারুণ অর্থ সংকটেও বিদ্যাশিক্ষা চালিয়ে গেছেন গুণী এই ব্যক্তিত্ব। কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বিদ্যাসাগর। তাকে ঘিরে প্রচলিত আছে যে, রাতে ঘরে আলো জ্বালানোর সামর্থ্য না থাকায় রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসেই পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন তিনি।

গ্রামের পাঠশালা থেকে সংস্কৃত শেখার পর বাবার সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। সেখানেও বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষালাভে মনোযোগ দেন তিনি। যার ধারাবাহিকতায় ১৮৩৯ সালে বাংলা, সংস্কৃতি ও ইংরেজি ভাষায় অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃতি কলেজ সম্মানজনক ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি দান করে।

শিক্ষালাভের পাশাপাশি সমাজ সংস্কারেও বিশেষ অবদান রাখেন তিনি। তার অক্লান্ত পরিশ্রমেই নারীরা পেয়েছে তাদের পূর্ণ অধিকার, হিন্দু নারীরা পেয়েছেন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার প্রেরণা। কলুষিত সমাজকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ, বিধবা বিবাহ আইন পাসসহ অসংখ্য সংস্কারমূখী পদক্ষেপে তার অবদান অনস্বীকার্য। হোমিওপ্যাথি শাস্ত্রেও এই নিরহংকারী ব্যক্তির পাণ্ডিত্য ছিল। এছাড়া, বাংলা গদ্যের পাশাপাশি অবদান রেখেছেন বাংলা লিপি সংস্কারেও। তিনি ছিলেন একাধারে বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও প্রাবন্ধিক।

তিনিই প্রথম বাংলায় যতিচিহ্নের প্রচলন ঘটিয়েছিলেন। শিক্ষার প্রকৃত অর্থ যে জ্ঞানলাভ, তার হাত ধরেই মানুষ শিখেছেন। আর তাই বিবিসি বাংলার ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে?’ জরিপে শ্রোতাদের মনোনীত শীর্ষ ২০ জন বাঙালির তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

বাঙালি সমাজে প্রগতিশীল সংস্কারের অগ্রদূত এই মহান সংস্কারকের জীবনাবসান ঘটেছিল ১৮৯১ সালে। মৃত্যুর শত বছর পারেও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার কাজের মধ্যেই স্মরণীয় হয়ে আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

error: Content is protected !!