1. admin@pathagarbarta.com : admin :
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান কবিগুরু ও নবীগঞ্জের দাশগুপ্ত জমিদার পরিবার-রত্নদীপ দাস (রাজু) কবি আজিজুল আম্বিয়ারের কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচম অনুষ্ঠিত  টাঙ্গাইলের ‘অভয়ারণ্য পাঠাগার’-এ বই লুট   জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা বই’ শীর্ষক কার্যক্রমের চূড়ান্ত মূল্যায়ন আজ সাংবাদিক সৌমিত্র দেবের মৃত্যুতে শোকের ছায়া  পুরান ঢাকার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে বৈশাখী অনুষ্ঠন আয়োজিত  জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম বেগম রোকেয়া স্মরণে রচনা লিখন কার্যক্রমের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত কবি খালিদ সাইফুল্লাহ রচিত ‘আমার বাবা মো. বজলুর রহমান’ গ্রন্থের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন

বান্দরবানে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের বইয়ের করুন দশা

পাঠাগার বার্তা
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৬৫ বার পঠিত

পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : বাইরের বারান্দায় বিশালাকার বইয়ের স্তূপ পড়ে আছে। কাদামাটি আর ভেজা ভাব বইয়ের গায়ে লেগে আছে। ভবনের ভেতরে এলোমেলো পড়ে আছে অসংখ্য বই। চেয়ার-টেবিল ও মেঝেতেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। মেঝেতে আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাদা মাটি জমে আছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে ও জ্ঞান আহরণ করতে তৈরি করা কর্নারটি টেবিল-চেয়ার বইপত্র কাদামাটি আর পানিতে ভিজে একাকার। এটি বান্দরবান জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের চিত্র।

যারা গণগ্রন্থাগারটিতে নিয়মিত যেতেন তাদের চোখে আজ অচেনা এই জ্ঞানভান্ডার। বন্যার পানি যেন গণগ্রন্থাগারটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি লাইব্রেরির ভেতরে প্রবেশ করে এমন অবস্থা করেছে। গত মঙ্গলবার বন্যার পানি সরকারি গণগ্রন্থাগারটিতে ঢুকে পড়ায় কম্পিউটার, বেশিরভাগ, নথিপত্রসহ অসংখ্য জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, হাজার হাজার বই লাইব্রেরির বারান্দায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সবগুলো বইয়ে কাদামাটি লেগে আছে। লাইব্রেরির ভেতরে আধা ইঞ্চি কাদামাটি জমে আছে। সারি সারি বইয়ের সেলফ মাটিতে পড়ে আছে। চেয়ার-টেবিল এলোমেলো পড়ে আছে। তিনজন লোক কাদামাটি থেকে বই সংগ্রহ করছেন। বন্যার পানির ক্ষত এখনও চারদিকে। পানির চিহ্ন দেখে বুঝা যায় বন্যার পানি প্রায় নয় ফুট উচ্চতায় গ্রন্থাগারে ঢুকেছিল। এতটুকু উচ্চতায় বন্যার পানি উঠবে তা কল্পনা করা যায় না বলে সংশ্লিষ্টদের মত।

বান্দরবান সরকারি কলেজে অনার্স পড়ুয়া দীপায়ন শীল বলেন, ‘বান্দরবানে এমন বন্যা আমার জীবনে দেখিনি। আমি নিয়মিত লাইব্রেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। এখন কোথায় গিয়ে সময় কাটাব জানি না। বেশির ভাগ বই পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।’

বান্দরবান সরকারি গণগ্রন্থাগারের ইনচার্জ মা শৈ সিং বলেন, ‘সোমবার রাতে বন্যার পানি আসতে থাকে। আমরা রাতের মধ্যে চেষ্টা করেছি বইগুলো নিরাপদ জায়গায় রাখতে। কিন্তু পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালেও লাইব্রেরিতে পানি উঠেছিল। সেই হিসাব করে নিচে থাকা বইগুলো নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কল্পনার বাইরে পানি উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরিতে ৩৪ হাজার বই আছে। ২০১৯ সালে প্রায় ৩ হাজার বই নষ্ট হয়ে যায়। যদি লাইব্রেরি ভবনটি দুই তলাবিশিষ্ট হতো তাহলে সম্পূর্ণ বই রক্ষা করা যেত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

error: Content is protected !!